বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৪ মিনিটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে আসেন। এরপর তিনি অনশনস্থলে যান। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি জানান, তারা গণমাধ্যমের সামনে কথা দিয়েছে অনশন ভাঙবে। এ সময় তার স্ত্রী ইয়াসমিন হকও সঙ্গে ছিলেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “যারা আন্দোলনকারীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা খুবই নিন্দনীয়। ছাত্রদের সাহায্য করে যদি অ্যারেস্ট হতে হয়, তাহলে আমি হব।”
জাফর ইকবাল আরও বলেন, “আমি তোমাদের ১০ হাজার টাকা দিলাম। এ টাকা দিয়ে তোমাদের তেমন কিছু হবে না জানি। কিন্তু আমি দেখতে চাই সিআইডি আমাকে অ্যারেস্ট করে কি না।”
জাফর ইকবাল বলেন, “তোমরা আমাকে গণমাধ্যমের সামনে কথা দিয়েছ, এ অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দেবে, এটা মানা যায় না। গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা করা হয়ে গেছে, তাদের তো আদালতে তোলা হবে। আশ্বাস পেয়েছি ছাত্রদের জামিন দেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। দিবাগত রাত ৩টা ৫৪ মিনিটে শাবিপ্রবিতে পৌঁছান। এর আগে সন্ধ্যার পর থেকেই তার আসার খবর ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসে।
এ বিষয়ে অনশনকারী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাফি বলেন, “জাফর ইকবাল স্যার বলেছেন, তাকে আশ্বাস দিয়ে পাঠানো হয়েছে। উপাচার্যের জন্য অনশন করে নিজের ক্ষতি করা ঠিক না। তাই আমাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ ও আহ্বান জানান তিনি। তবে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।”